গ্রেফতারের ১২ বছর পর জামিনে মুক্তি পেলেন সোনাগাজীর এক সময়ের দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী আব্দুর রহমান মানিক প্রকাশ ভিল্লা মানিক।
ফেনী জেলা কারাগারের জেলার শাহাদাত হোসেন জানায়,সব মামলায় জামিনের পর সোমবার বিকালে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ডাকাতি হত্যাসহ ৫টি মামলা ছিলো।
জানা যায়,গত ২০০৮ সালে ডাকাতির সময় তাকে উপজেলার চরদরবেশ ইউনিয়নের আহসানের দোকান এলাকা থেকে প্রয়াত বিএনপি নেতা সন্দিপি মানিক ও যুবদল নেতা মাসুদ গ্রামবাসীর সহায়তায় অস্ত্রসহ আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।আটকের সময় এলাকাবাসী তাকে গনপিটুনী দিলে সে গুরতর আহত হয়।
সে চরছান্দিয়া ইউনিয়নের ভুঞাবাজার সংলগ্ন আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, সোনাগাজীর উপকূলীয় অঞ্চলের একময়ের ত্রাস ছিলেন ভিল্লা মানিক।তার বিরুদ্ধে যুবদল নেতা ইমাম ভন্টনকে হত্যা করে লাশ গুম,যুবদল নেতা জসিমকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করে লাশ গুমেরর মামলা রয়েছে।এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বহু চুরি ডাকাতিসহ আওয়ামীলীগ কর্মী কালাম মাঝির একপা কেটে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।বর্তমানে কালাম মাঝি পঙ্গু অবস্থায় জীবন যাপন করছে।উপকূলীয় অঞ্চলে জলদস্যু বাহিনীর নেতৃত্ব দিতো সে।গ্রেফতারের পর তার বাহিনীর সদস্যরা এলাকা থেকে পালিয়ে যায়।
আদর্শগ্রামে যুবলীগ নেতা বেলাল ও কালামকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে মামলা হলেও ২০০১ সালে বিএনপি জামাত জোট ক্ষমতায় আসার সে মামলা সরকার প্রত্যাহার করে।