নিউজ ডেস্ক>>
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সরকার পতনের এক দফা কর্মসূচির সমর্থনে ফেনীতে ছাত্র-জনতার অবস্থান কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগ। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী, পথচারী ও সাংবাদিকসহ আহত হয়েছেন আরও দেড় শতাধিক। ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. আসিফ ইকবাল নিশ্চিত করেছেন।
আজ রোববার বেলা দেড়টা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মহিপাল এলাকায় এ সংঘর্ষ শুরু হয়। নিহতের মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন ফেনী সরকারি কলেজের অনার্সের শিক্ষার্থী ইশতিয়াক আহমেদ শ্রাবণ (২০), সদর উপজেলার ফাজিলপুর কলাতলী গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে ছাইদুল ইসলাম (২১) এবং পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ কাশিমপুর এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে শিহাব উদ্দিন (১৯), সোনাগাজীর চরমজলিশপুর ইউনিয়নের মান্দারি গ্রামের দেলোয়ারের ছেলে শাকিব(২২),জয়লস্কর ইউনিয়নের মীরবাড়ির শাহাজানের ছেলে সরওয়ার জাহান মাসুদ(২১),লক্ষীপুরের মালেকের ছেলে অটোচালক সাইফুল ইসলাম (৩৫), আরাফাত নামক একজন ও অজ্ঞাত লাশ।
সরেজমিন দেখা যায়, বেলা দেড়টার দিকে শহরের ট্রাংক রোড থেকে দলবল নিয়ে শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়ক হয়ে মহিপাল যান আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা। এ সময় সড়কে গুলি তাক করে সাংবাদিকদের একটি ব্যাংকের ভেতর তাড়া করে মোবাইল, প্রেস জ্যাকেট ও আইডি কার্ড কেড়ে নিয়ে মারধর করেন তাঁরা।
পরে মহিপাল এলাকায় পৌঁছালে ছাত্র–জনতার ওপর অতর্কিত গুলি ও হামলা চালান নেতা–কর্মীরা। একপর্যায়ে ক্ষমতাসীন দলের আরেকটি পক্ষ শহরের ইসলামপুর রোডে বিএনপি নেতা–কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি ও হামলা করে।