বুধবার, ১১ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২৭শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ||
  • প্রচ্ছদ
  • এক্সক্লুসিভ >> ফেনী
  • নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে ফেনী ‘মুক্ত দিবস’ পালিত
  • নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে ফেনী ‘মুক্ত দিবস’ পালিত

    শহর প্রতিনিধি >>
    ফেনীতে নানা আয়োজনে ও যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে হানাদারমুক্ত দিবস। এ উপলক্ষে গতকাল বুধবার সকালে শহরের জেল রোড়স্থ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার ও ফেনী জেলা পুলিশ সুপার জাকির হাসানসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা। দিবসটি উপলক্ষে ফেনী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সকালে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। র‍্যালিটি শহরের মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভ প্রদক্ষিণ শেষে ফেনী কলেজ এসে বীর মুক্তিযোদ্ধা খাজা আহমেদ অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। ফেনী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ফেনী মুক্ত দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক গোলাম মো. বাতেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার। সিনিয়র সহকারী কমিশনার শিফাত বিনতে আরা, সহকারী কমিশনার পুদম পুষ্প চাকমা ও ফেনী জেলা কালচারাল অফিসার এস.টি কামরান হাসানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ফেনী জেলা পুলিশ সুপার জাকির হাসান, ফেনী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোক্তার হোসাইন ও ফেনী জজ আদালতের বিজ্ঞ পাবলিক প্রসিকিউটর বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট হাফেজ আহাম্মদ। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক আবু তাহের, আবদুল মোতালেব, প্রিয় রঞ্জন দত্ত, মোস্তফা হোসেন, এ.এস. শাহুদুল হক বুলবুল ও ফেনী সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মো. দেলওয়ার হোসেন। ফেনী মুক্ত দিবসের অঙ্গিকার ‘মাদক মুক্ত ফেনী আমার’ এই প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে ফেনী মুক্ত দিবস উপলক্ষে দাগনভূঞার তরুণ সংঘ এক ব্যতিক্রম পদযাত্রার আয়োজন করে। গতকাল বুধবার ভোরে দাগনভূইয়া জিরো পয়েন্ট থেকে পাঁয়ে হেটে ফেনী কলেজ বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভে এসে পৌঁছায় তরুণ সংঘের সদস্যরা পরে তারা খাজা আহমেদ অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভায় মিলিত  হয়। প্রধান অতিথি ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার বলেন, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস বহন করছে ফেনী জেলা। তিনি উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন। এছাড়াও প্রধান অতিথি দীর্ঘ ২৫ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে এসে ফেনী

    কলেজে অবস্থিত বধ্যভূমি হয়ে উক্ত সভায় যোগদান করায় তরুণ সংঘের সকল সদস্যের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। এর আগে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে ফেনী জেলা প্রশাসন,  পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর বীর মুক্তিযোদ্ধারা সম্মুখসমরে পাকহানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে ফেনীর মাটিতে স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়িয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় সমগ্র বাংলাদেশ সার্বিকভাবে পাকিস্তানি হানাদারমুক্ত হয় ১৬ ডিসেম্বর, কিন্তু ফেনী পাকিস্তানি হানাদারমুক্ত হয় ৬ ডিসেম্বর। এজন্য ৬ ডিসেম্বর ফেনী ‘মুক্ত দিবস’ পালিত হয়ে থাকে।

    আরও পড়ুন

    error: Please Contact: 01822 976776 !!