নিয়োগ ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে বেআইনিভাবেই রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের আটটি শাখায় কাজ করছেন ১৪ জন। সামলাচ্ছেন গোপনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ দফতর। সেবাপ্রার্থীদের ফাইল আটকে, হয়রানি করে টাকা আদায়ের অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।নিয়োগ ছাড়া রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের ৮টি শাখায় কাজ করা ১৪ জনের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অনিয়মের অভিযোগ। মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সরকারি দফতরে কাজে মগ্ন মোস্তাফিজ রাজ ডাবলু নামে এক ব্যক্তি। আগত সেবা প্রত্যাশীদের বয়স ও নাম সংশোধনের আবেদনপত্র গ্রহণ করেন তিনি। অথচ সরকারি চেয়ারে বসে কর্তা বনে যাওয়া এই ব্যক্তি নিয়োগপ্রাপ্ত কেউ নন। দৈনিক হাজিরা, চুক্তিভিত্তিক কিংবা স্থায়ী বিধিবদ্ধ নিয়োগও নেই তার।মোস্তাফিজ রাজ ডাবলু জানান, চুক্তিভিত্তিক কাজ করেন তিনি। যদিও সেই দাবির প্রেক্ষিতে কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারেননি তিনি।
জেএসসি শাখার ফেরদৌস হাসান একজন সেবা প্রত্যাশীর ফাইল নিয়ে কাজ করছিলেন। প্রতিবেদককে তিনি জানান, তার নিয়োগ বা কোনো চুক্তি নেই। চেয়ারম্যানের সুপারিশে তিনি কাজের সুযোগ পেয়েছেন। শিক্ষা বোর্ড থেকে ফাঁস হচ্ছে ব্যক্তিগত তথ্য, বিপদের শঙ্কা!কোনো সম্মানী পান কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে যা দেয় তাতেই চলে যায়। এ নিয়ে কোনো নিউজ না করতেও অনুরোধ করেন তিনি।রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের জেএসসি নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা নাইমা খাতুন জানান, ফেরদৌস হাসান প্রশাসনের সুপারিশে কাজ করেন। তাকে সাধ্যমতো কিছু টাকা দিয়ে সহায়তা করা হয়। সেই সহায়তা খাতের ব্যাপারে বিস্তারিত বলতে রাজি হননি তিনি। নিয়োগ বা চুক্তি ছাড়াই সংস্থাপন শাখায় নিয়মিত অফিস করেন আশিক নামে আরেক ব্যক্তি। এ নিয়ে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি।রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সংস্থাপন শাখার কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, আশিক বৈধ কর্মী বা কর্মচারী নন। তার বাবা মারা গেছেন। তাই এখানে এসে আমাদের সহায়তা করেন।