শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ||
  • প্রচ্ছদ
  • অপরাধ >> এক্সক্লুসিভ >> ফেনী >> সোনাগাজী
  • সোনাগাজীতে শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ
  • সোনাগাজীতে শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ

    সোনাগাজী প্রতিনিধি :

    সোনাগাজী উপজেলার বগাদানা ইউনিয়নের তাকিয়া বাজার পাইকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহ আলমের বিরুদ্ধেকয়েকজন শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় উপজেলা শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলাম গতকাল রবিবার সকালেবিদ্যালয় পরিদর্শন করে শিক্ষক, শিক্ষার্থীঅভিভাবকদের সাথে কথা বলেছেন।

    শিক্ষার্থীঅভিভাবক জানায়, শিক্ষক শাহ আলম বিভিন্ন সময় নানা উচিলায় শিক্ষার্থীদের হাত ধরে, শরীরের স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেয়।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অভিভাবক বলেন, আমার মেয়ে বাড়িতে গিয়ে তার মাকে বলে শিক্ষক শাহ আলম বিভিন্ন সময় তার পেটেরচামড়া ধরে টানে, হাত ধরে। আরেকজন অভিভাবক বলেন, গত কিছুদিন আগে উপজেলায় স্কাউটের একটা প্রোগ্রামে আমি আমার মেয়েকে নিয়েযাই। তখন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবরাজ রাজু সহকারী শিক্ষক শাহ আলম ছিলেন। প্রোগ্রামের কার্যক্রম শুরু হতে দেরি হলে আমিশিক্ষক শাহ আলমের নিকট আমার মেয়েকে রেখে বাড়ি চলে আসি। আমার মেয়ে বাড়িতে এসে বলে শাহ আলম স্যার আমার মেয়েকে একাপেয়ে তার শরীরের স্পর্শ কাতর জায়গায় হাত দিয়েছে। পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষককে আমি বিষয়টা জানিয়েছি। আমি এর বিচার চাই। শিক্ষক যদিএরকম লম্পট হয় আমরা কাকে বিশ্বাস করব।

    অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক শাহ আলম বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। আমি নির্দোষ। কয়েকজন মিলে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম রিপাত বলেন, গত শুক্রবার একজন অভিভাবক আমার কাছে শিক্ষক শাহ আলমেরবিরুদ্ধে তার বাচ্চাকে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন। আমি বলেছি রবিবারে বিদ্যালয় খোলা থাকবে ওইদিন আসিয়েন। তখন অভিভাবকবলে আমি ওই শিক্ষকের হাতপা ভেঙ্গে পেলবো। আমি বলেছি উত্তেজিত হওয়ার দরকার নাই বিদ্যালয়ে গিয়ে সবার সাথে কথা বলে সিদ্ধান্তহবে। গতকাল রবিবার বিদ্যালয়ে গিয়ে ৫ম শ্রেণীর ১৬জন শিক্ষার্থীর বক্তব্য শুনেছি। সবাই শিক্ষক শাহ আলমের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানিরঅভিযোগ দিয়েছে। তারা বলেছে স্যার প্রায় সময় আমাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হাত দেয়। শিক্ষার্থীদের বক্তব্য শোনার পর আমি এবংপ্রধান শিক্ষক ফোন করে ইউএনও স্যার এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে বিষয়টি জানাই। আমি চাই বিষয়টি ভালোভাবে তদন্ত হউক। তদন্তেশিক্ষক দোষী সাব্যস্ত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হউক।

    প্রধান শিক্ষক দেবরাজ রাজু বলেন, সহকারী শিক্ষক শাহ আলমের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠার পর। উপজেলা শিক্ষা অফিসার, সভাপতি, স্থানীয় ইউপি সদস্য বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন।শিক্ষার্থীরা জানায় শিক্ষক শাহ আলম বিভিন্ন সময় তাদের গায়ে হাতদেয়। দুইজন অভিভাবক, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি স্থানীয় ইউপি সদস্য শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত বক্তব্য দিয়েছেন।

    বগাদানা ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন বাবুল জানান, শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ শোনার পর শিক্ষক, শিক্ষার্থী অভিভাবকদেরসাথে কথা বলি। একজন শিক্ষার্থী বলে আমাকে একজন ম্যাডাম শিখিয়ে দিয়েছে স্যারের বিরুদ্ধে বলার জন্য। এরপর  কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেস্যার বিভিন্ন সময় আমাদের গায়ে হাত দিয়েছেন। চেয়ারম্যান আরো বলেন, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এর আগেও শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানিরঅভিযোগ ছিল বলে শুনলাম। উপজেলা শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলাম বলেন, শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ পাওয়ার পরবিদ্যালয় পরিদর্শন করি। এসময় অভিভাবক শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেছি। তাদের বক্তব্যগুলো লিখিত আকারে উদ্বর্তন কর্তৃপক্ষকেজানাবো।

    সোনাগাজী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান ইমাম বলেন, শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির কোন অভিযোগ আমি পাইনি। যৌনহয়রানির অভিযোগ আমাদের কাছে আসলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারি। ব্যপারে অভিভাবকদের আরো সচেতন হওয়া উচিত।উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান বলেন, পাইকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ শুনেছি।বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। শিক্ষক দোষী হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে

    আরও পড়ুন

    error: Please Contact: 01822 976776 !!