ফেনীতে বিএসটিআই অনুমোদন না থাকার পাশাপাশি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পঁচা, বাসি খাদ্যে ক্ষতিকর রং মেশিয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য তৈরী ও বাজারজাত সহ মোড়কে মিথ্যা তথ্য প্রচারের দায়ে তিন প্রতিষ্ঠানকে ৩১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে র্যাব পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালত। বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে শহরের কালীপাল এলাকার প্রতিষ্ঠানগুলোতে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব-৩ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু।এসময় অনিয়মের অপরাধে রসমেলা ফুড প্রোডক্টস লিঃ ও যমুনা বেকারীর ৪ জনকে আটক করা হয়।
আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, অভিযানে রসমেলা ফুড প্রোডক্টস লিঃ ও যমুনা বেকারীর কারখানায় গিয়ে দেখা যায় তাদের উৎপাদিত পণ্যের কোনটিতেই ব্যাচ নম্বর, মার্ক ও উৎপাদন এবং মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ নেই। তাই নিরাপদ খাদ্য আইনে রসমেলা ফুড প্রোডক্টস লিঃ এর মালিক হাসান আলীর ১৩ লাখ জরিমানাসহ কারখানাটি সিলগালা করা হয়। এসময় নিম্নমানের খাদ্য তৈরীর অপরাধে একই প্রতিষ্ঠানের মো: সাইফুল, মিলন কান্তি ও ফজলুল করিম নামে তিন ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
এছাড়া একই অপরাধে যমুনা বেকারীর মালিক মোঃ সোহেলের ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পরে প্রতিষ্ঠানটিতে বাজারজাতের উদ্যেশ্যে রাখা পচাঁ বাসি প্রায় ৪ হাজার ৫শ কেজি বিভিন্ন ধরনের বিস্কুট জব্দ করে সেগুলো ধ্বংস করা হয় এবং কারখানাটি সিলগালা করে দেয়া হয়।এসময় মোঃ আলাউদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে কারখানা থেকে আটক করা হয়।
একপর্যায় সোনিয়া আইসক্রীম নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায় র্যাব।পরে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরুল আলম বিএসটিআই অনুমোদন দেখাতে না পারায় এবং নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নোংরা পরিবেশে খাদ্য উৎপাদনের দায়ে তাকে ৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানে র্যাব-৭ ফেনী ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী অধিনায়ক সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ জুনায়েদ জাহেদীসহ র্যাব-৭ সদস্যরা ও জেলা স্যানেটারি ইন্সপেক্টর এবং নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক অমলিন্দ ভান্ডার উপস্থিত ছিলেন।