ফেনী বিসিক শিল্প নগরীতে বেতনের দাবীতে বিক্ষোভ করেছে শ্রমিকরা। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে বকেয়া বেতনের দাবীতে সামছুদ্দিন তাওয়ালস লিঃএর ২শ শ্রমিক রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করে।পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিক্ষোভকারীদের দাবী, তিনমাসের বেতন বকেয়া রেখেছে কতৃপক্ষ।এতে তাদের ঘর ভাড়া ও খাওয়া পর্যন্ত বন্ধ হয়ে গেছে।মিলস কতৃপক্ষ রমজানের পূর্বে বকেয়ার কিছু অংশ পরিশোধ করবেন বলে ঘোষণা দিলেও হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে দ্রুত বেতন দিতে পারবে না জানিয়ে দুপুরে ফ্যাক্টরিতে একটি নোটিশ টানিয়ে দেয়।
মহাব্যবস্থাপক সাক্ষরিত ঐ নোটিশে উল্লেখ করা হয় ৭ মে ব্যাংক লোন পাওয়ার পর বেতনের আংশিক প্রদান করা হবে। যারা কাজে আসবে না তারা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন।
কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাইনউদ্দিন আহমেদ কামরান বলেন, সম্পূর্ণ রপ্তানীমুখি এ প্রতিষ্ঠনটি তীব্র অর্থ সংকটে রয়েছে। চলমান করোনা পরিস্থিতিতে উৎপাদন ৩০ শতাংশে নেমে এসেছে। এ মুহূর্তে বেতন দেয়ার মত কোন অবস্থা প্রতিষ্ঠানের নেই। ৭ মে সরকার বিশেষ প্রণোদনা হিসেবে সহজ শর্তে ঋণ ছাড় পেলে চলতি মাসের বেতন দেয়া যাবে। বকেয়া বেতন ধীরে ধীরে শোধ করা হবে।
আন্দোলনরত সুইং কাটিং ম্যান সুমি বলেন, আমরা চাইনা কোম্পানী বন্ধ হয়ে যাক। কিন্তু কাজ করি টাকার জন্য, আজ ৩ মাস বেতন পাই না।
মেশিন অপারটর কামরুন নাহার বলেন, বাড়িভাড়ার জন্য চাপ দিচ্ছে বাড়িওয়ালা। আমরা সরকারি সহায়তাও পাই না, তাহলে বাঁচবো কি করে।
সুইং টেকনিশিয়ান রিপন বলেন, কোম্পানীর আপদ বিপদ দেখতে দেখতে এখন আমরা না খেয়ে মরছি। আন্দোলন করলে মামালা, চাকরীচ্যুতির ভীতি দেখায়। এর আগেও আন্দোলন করায় মামলা হয়েছে, অনেকে চলে গেছে।
সামছুদ্দিন তাওয়ালস এর মহাব্যবস্থাপক কাজী শরফেউদ্দিন বলেন, মালিকপক্ষ সবসময় শ্রমিকে স্বার্থ সংরক্ষণ করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে পণ্যের চাহিদা কমে যাওয়ায় আয় নেই। ফলে তাদের বেতন এখনই দেয়ার মত কোন সুযোগ ম্যানেজমেন্ট এর হাতে নেই।
বিসিক এর এজিএম অরবিন্দ দাস জানান, মালিক পক্ষ ও শ্রমিকের সাথে কথা বলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।