দিদারুল আলম:
আমাদের নিশ্চয়ই রোহিঙ্গা ক্রাইসিসের কথা মনে আছে। বাংলাদেশে যখন স্রোতের গতিতে রোহিঙ্গারা প্রবেশ করে তখন আমরা সবাই বিভিন্ন সংগঠনের নামে ত্রাণ নিয়ে তাদের দিয়েছি। তখনকার সময়ে আমরা এমনও দেখেছি একজন রোহিঙ্গা বিভিন্ন সংগঠনের কাছ থেকে ত্রাণ গ্রহন করার পর সে যখন দেখল তার ত্রাণের পরিমান বেশি তখন সে ত্রাণ বিক্রয় করতে দোকান সাজিয়ে বসে।
আমি বলছি বাংলাদেশের করোনা বিপর্যয়ে কারনে আমারা সবাই সবার জায়গা থেকে ত্রাণ দিচ্ছি, অসহায় কর্মহীন মানুষগুলোর পাশে দাড়াতে চেষ্টা করছি। কিন্তও একটু খেয়াল করে দেখুন আমরা কিন্তু সবার কাছে পৌছাতে পারছি? প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে।
আমি আমাদের ফেনী জেলার কথা বলি- সেখানে একটি পরিবার কিন্তু বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে বেশ কয়েকবার ত্রাণ পাচ্ছে। কিন্তু হয়ত যার ত্রাণ পাওয়ার কথা সে পাচ্ছেনা। আমাদের দেশে করোনার প্রকোপ মাত্র শুরু হয়েছে।
আমাদের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে অনকে সময় পার করতে হবে। আমারা সবাই এক সাথে ত্রাণ না দিয়ে যদি একটু সময় নিয়ে হিসাব করে দেই তাহলে হয়ত আমরা বিপর্যয়ে কাটিয়ে উঠতে পারবো।
লেখক- ফেনী জেলা প্রতিনিধি , এটিএন নিউজ ও এটিএন বাংলা